প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা নয়, নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ টাইগারদের। কোনো একক ক্রিকেটার নয়, ভারতের পুরো দলকে নিয়েই কৌশল সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়।
ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে দেখা দিল বৈষম্য। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল আইসিসি একাডেমি মাঠ, আর ভারত অনুশীলন করেছে ম্যাচ ভেন্যুতে। টাইগাররা উইকেট দেখার সুযোগও পায়নি, সেখানে ভারতের জন্য মূল মাঠের তিনটি উইকেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আইসিসি ইভেন্টে ভারতের জন্য এমন বিশেষ সুবিধা নতুন কিছু নয়।
প্রতিপক্ষ ভারত হলেও একাদশে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় না বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেললেও মাহমুদউল্লাহ থাকছেন একাদশে। ভারতের স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণের বিপরীতে তিন পেসার নিয়েই মাঠে নামছে টাইগাররা।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমাদের দল ব্যালান্সড। আমরা বিশ্বাস করি, এই টুর্নামেন্টে যেকোনো দলকে হারাতে পারি। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না, আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে জয় সম্ভব।’
ওয়ানডেতে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। এরপর ৪১ ম্যাচে ভারতের জয় ৩২টি, বাংলাদেশের ৮টি। তবে শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনবার ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ দেখায় ২০২৩ বিশ্বকাপে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ, তবে তার আগে ২০২৩ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েছিল টাইগাররা। ২০২২ সালে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকলেও আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। নিজেদের পরিকল্পনা মাঠে ঠিকঠাকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে চমক দেখানো সম্ভব টাইগারদের।